এক্স-রে হচ্ছে এক ধরনের কৃত্রিমভাবে তৈরি তেজস্ক্রিয় রশ্মি, যা দিয়ে মানব দেহের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং স্থান ভেদে চিকিৎসাও প্রদান করা হয়। এক্স-রে কি ক্ষতিকারক : অবশ্যই। যদিও শরীর অল্পদিনের মাঝেই সে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি অপূরণীয়। এতে শরীরের স্থায়ী কোষ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। মাত্র একটি এক্স-রে কণা একটি মূল্যবান কোষ ধ্বংসের জন্য যথেষ্ট। তবে সব সময় সবারই যে একইরকম ক্ষতি হবে বা হবেই বা এটা বিতর্কসাপেক্ষ।
ফলাফল : যদি মানব ভ্রূণ সৃষ্টির শুরুতে কোনো কোষ নষ্ট হয়, এর প্রভাবও শিশুটির ওপর পড়তে পারে। শিশুটি বিকলাঙ্গ হয়ে জন্ম নিতে পারে অথবা মানসিক প্রতিবন্ধী হতে পারে। কারণে অকারণে বারবার এক্স-রে করালে শরীরের জনন কোষগুলোর (শুক্রাশয় বা ডিম্বাশয়) ওপর এর প্রতিক্রিয়ার কারণে প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে যারা এক্স-রের সংস্পর্শে থাকেন বা থাকবেন তাদের ত্বকের ক্যান্সার, লিউকোমিয়া, চোখে ছানিপড়া, খাদ্যনালীর ক্যান্সার ইত্যাদি হওয়ার আশংকা বেশি থাকে।
এক্স-রে কি করা যাবে না : অবশ্যই যাবে। এটি একটি অল্প খরচে ও স্বল্প সময়ে অতি প্রয়োজনীয় পরীক্ষা। উন্নত বিশ্বে যে কেউ ইচ্ছা করলেই এক্স-রে পরীক্ষা লিখতে বা করাতে পারেন না। এ ক্ষমতা সেখানে নির্দিষ্ট কিছু ডাক্তারের হাতে থাকে। আমাদের দেশে যত্রতত্র এর ব্যবহার হয়ে থাকে, তাই আমরা যদি একটু সচেতন হই তাহলে অনেকাংশে এর খারাপ প্রতিক্রিয়া থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারব।
4D কালার আল্ট্রাসনোগ্রাম
আলট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে ত্রিমাত্রিক ছবি নেয়া হলে সেটাকে ৩ডি বলা হয়। আর গতিশীল ছবি অর্থাৎ চতুর্থ মাত্রা হিসেবে সময় থাকলে সেটা ৪ডি আলট্রাসনোগ্রাফি।
গর্ভধারণ হয়েছে কি না তা নিশ্চিত করা হয় আলট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে। পূর্ববর্তী মাসিকের সাড়ে চার সপ্তাহের মধ্যে গর্ভাশয়ের থলে এবং পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভাশয়ের থলের মধ্যে আরেকটি ক্ষুদ্র থলে (ইয়ক স্যাক) দেখে শনাক্ত করা যায় গর্ভধারণ হয়েছে কি না। আর সাড়ে পাঁচ সপ্তাহ পর ভ্রূণ দেখা যায়।
গর্ভাবস্থায় আলট্রাসনোগ্রাফি বা অতিশব্দ পরীক্ষা করার কোনো নির্ধারিত সময়সূচি নেই। কোনো সমস্যা বা সন্দেহ থাকলে পরীক্ষাটা করতে হবে। গর্ভধারণ করার সাত সপ্তাহ পর আলট্রাসনোগ্রাফি করলে গর্ভস্থ শিশুকে দেখা যায় এবং হৃৎপিণ্ডের চলাচল বোঝা যায়। ১১ থেকে ১৪ সপ্তাহের মধ্যে নাকের হাড় এবং ঘাড়ের পেছনের দিকের পানিপূর্ণ থলে দেখা হয়, যার মাধ্যমে মানসিক ও শারীরিক ত্রুটিযুক্ত শিশু প্রসবের আশঙ্কা থাকলে তা বোঝা যায়। ১৮ থেকে ২০ সপ্তাহের দিকে ভ্রূণের গঠনগত ত্রুটিগুলো ভালোবোঝা যায়। ৩২ সপ্তাহের সময় সাধারণত ভ্রূণের বৃদ্ধি, ওজন,বাহ্যিক অবস্থা দেখা হয়।
আগে করা সনোগ্রাফিগুলোতে কোনো ত্রুটি সন্দেহ করলে এ পর্যায়ে তা মিলিয়েদেখা হয়। ২৪ সপ্তাহের পর গর্ভস্থ শিশুর লিঙ্গ নির্ধারণ করা যায়। তবে চিকিৎসা-সংক্রান্ত বিশেষকারণ ছাড়া লিঙ্গ উল্লেখ না করাই ভালো। বিশ্বের অনেক দেশেই গর্ভস্থ শিশুর লিঙ্গ উল্লেখ না করার বিষয়ে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
এক্স-রে, সিটিস্ক্যান ইত্যাদি পরীক্ষায় উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন রশ্মি ব্যবহার করা হয়, যাশরীরের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু আলট্রাসনোগ্রাফিতে অতিশব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করা হয়। এই তরঙ্গের উল্লেখ করার মতো ক্ষতিকর দিক এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এটাও বলে রাখা ভালো যে সনোগ্রাফির মাধ্যমে তথ্য পাওয়ায় ক্ষেত্রে একটা ভালো যন্ত্র থাকা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনিভাবে যিনি পরীক্ষাটি করছেন তাঁর দক্ষতাও রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বলে গর্ভাবস্থায় ঘন ঘন আলট্রাসনোগ্রাফি করা ঠিক নয়। নির্দিষ্ট কারণে বা কোনো তথ্যের প্রয়োজন হলেই চিকিৎসকেরপরামর্শ নিয়ে পরীক্ষাটি করানো উচিত।
১২ চ্যানেল ই.সি.জি
প্রাথমিকভাবে রোগীকে পরীক্ষা করার পর প্রয়োজন মনে হলে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞগণ প্রথমে যে পরীক্ষাটি করাতে বলেন সেটি হচ্ছে ইসিজি বা ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাফি। অনেকে একে ইকেজি-ও বলে থাকেন।
এটি একটি নন-ইনভেসিভ পরীক্ষা, অর্থাৎ রোগীর শরীর কাটাছেঁড়া করে ভেতরে কিছু প্রবেশ করানোর প্রয়োজন হয় না।
মোটামুটি পাঁচ মিনিটের মত সময় লাগে পরীক্ষাটি করতে। হৃদপিন্ড তার স্বাভাবিক ছন্দে কাজ করছে কিনা, হৃদপিন্ডের অবস্থান, হৃদপেশীর কোন অংশ অতিরিক্ত পুরু হয়ে গেছে কিনা, হৃদপেশীর কোন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা, রক্ত প্রবাহে কোন অস্বাভাবিকতা আছে কিনা ইত্যাদি বিষয় হৃদপিন্ডের বৈদ্যুতিক ক্রিয়া পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বোঝার চেষ্টা করা হয়।
একটি কাগজে গ্রাফ আকারে ইসিজি পরীক্ষার ফলাফল বা রিপোর্ট তৈরি হয়। আধুনিক ইসিজি মেশিনগুলোয় তাৎক্ষণিকভাবে একটি ডিসপ্লেতে-ও ইসিজি গ্রাফ পর্যবেক্ষণ করা যায়।
এই গ্রাফ দেখেই চিকিৎসক বুঝে নেন রোগীর হার্ট এটাক আছে কিনা, রক্তে হৃদপিন্ডের জন্য ক্ষতিকর মাত্রায় পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ইত্যাদি ইলেকট্রোলাইট থাকার লক্ষণ আছে কিনা, উচ্চ রক্তচাপের কোন ক্ষতিকর প্রভাব তৈরি হয়েছে কিনা।
এজন্য একটি সমতল বিছানায় রোগীকে শুইয়ে দুই হাত, দুই পা এবং হৃদপিন্ডের কাছাকাছি ছয়টি নির্ধারিত স্থানে ইলেকট্রোড বা তড়িৎদ্বার লাগানো হয়। পরিবাহীতা বৃদ্ধির জন্য চামড়ায় বিশেষ ধরনের জেলও লাগানো হয় অনেক সময়।
এ পরীক্ষা সম্পূর্ণ ব্যাথামুক্ত এবং কোন পূর্বপ্রস্তুতি প্রয়োজন হয় না। তবে কোন পুরুষের বুকে অতিরিক্ত লোম থাকলে বিদ্যুৎ পরিবাহীতা বাড়ানোর জন্য শেভ করার প্রয়োজন হতে পারে।
কেবল বুকে ব্যাথা ও শ্বাসকষ্টের অভিযোগ নিয়ে আসা রোগীর ক্ষেত্রেই নয়, বয়স্ক রোগীর অপারেশনের পূর্বপ্রস্তুতির অংশ হিসেবেও ইসিজি করা হয়। তাছাড়া ইসিজি নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষারও একটি অংশ।
ইসিজি করার পর রোগীর অবস্থা বুঝে আরও বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষার পরামর্শ দিতে পারেন চিকিৎসক। এসব পরীক্ষার মধ্যে ইটিটি, ইকো কার্ডিওগ্রাফি এবং এনজিওগ্রাফি উল্লেখযোগ্য।
ইকো ও কালার ডপলার
উচ্চ কম্পাংকের শব্দ তরঙ্গ বা আলট্রা সাউন্ডের প্রতিধ্বনি ব্যবহার করে হৃৎপেশীর সঞ্চালন, ভালভ ও প্রকোষ্ঠের বর্তমান অবস্থা এবং হৃদপিণ্ডের সংকোচন ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে রক্ত প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা হয় এ পরীক্ষায়। সাধারণভাবে এটি ইকো নামেও পরিচিত। এ পরীক্ষার খরচ কিছুটা বেশি।
হৃদরোগীর বর্তমান অবস্থা বুঝে করণীয় নির্ধারণে এ পরীক্ষা করা হয়। এছাড়া হৃদপিণ্ডের ভালভের জটিলতায় ভুগছেন এমন রোগীর অগ্রগতি নির্ণয় কিংবা অস্ত্রোপচার পরবর্তীতে রোগীর অবস্থা বুঝতে এ পরীক্ষা করা হয়।
প্রস্তুতি:
সাধারণ ইকোকার্ডিওগ্রামের জন্য কোন পূর্ব প্রস্তুতি লাগে না। স্বাভাবিক খাবার খেয়ে টেস্টের জন্য যেতে হবে। আর যদি রোগী হৃদরোগের জন্য নিয়মিতভাবে ওষুধ খেতে থাকেন তবে সে ওষুধও খেতে হবে। গুরুতর রোগীদের ক্ষেত্রে ইসিজি ছাড়াই ইকো করা হয়।
পরীক্ষা:
খালি গায়ে পরীক্ষাটি করতে হয়। রোগীকে বাম দিকে কাত হয়ে পরীক্ষণ টেবিলে শুয়ে পড়তে বলা হয়। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাফ মনিটরের জন্য রোগীর বুকে তিনটি ইলেকট্রোড বা তড়িৎদ্বার লাগানো হয়। আলট্রাসাউন্ড উৎপাদনকারী ট্রান্সডিউসারটি রোগীর বুকে রেখে আলট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে ছবি নেয়া হয়।
পরিষ্কার ছবি পেতে চামড়ায় এবং ট্রান্সডিউসারটির প্রান্তে এক ধরনের জেল লাগানো হয়। এটি কোনভাবেই চামড়ার জন্য ক্ষতিকারক নয়।
যে শব্দতরঙ্গ উৎপাদন করা হয় তা মানুষের শ্রাব্যতার সীমার বাইরে হলেও দু’একটি ক্ষেত্রে শোনা যেতে পারে। হৃদপিণ্ডের বিভিন্ন অবস্থানের ছবি নেয়ার জন্য রোগীকে কিছু সময় পরপর অবস্থান বদলাতেও বলা হয়। অল্প সময়ের জন্য শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ রাখতেও বলা হতে পারে।
এটি একটি নন-ইনভেসিভ পরীক্ষা এবং কোন ধরনের ব্যথা অনুভূত হয় না। তবে জেলের জন্য চামড়ায় কিছুটা ঠাণ্ডা অনুভূতি হতে পারে, সনোগ্রাফার চামড়ায় ট্রান্সডিউসারটি লাগালে সামান্য চাপ অনুভূত হতে পারে। পরীক্ষাটি করতে ৪০ মিনিটের মত সময় লাগে এবং পরীক্ষা শেষে রোগী স্বাভাবিক কাজে ফিরে যেতে পারে।
পরীক্ষা শেষে রোগীর হৃদযন্ত্রের চিত্র সম্বলিত একটি প্রিন্ট আউট এবং চিকিৎসকের লেখা একটি রিপোর্ট রোগীকে দেয়া হয়। এ রিপোর্ট দেখে হৃদরোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, যিনি পরীক্ষাটি করাতে বলেছেন তিনি সিদ্ধান্ত নেন।
বায়োকেমিস্ট্রি
একটি রক্ত জৈব রসায়ন পরীক্ষা হল একটি রক্তের নমুনা সহ একটি পরীক্ষা যা রক্তের নমুনায় কিছু রাসায়নিকের ঘনত্ব পরিমাপ করে (যার মধ্যে ইলেক্ট্রোলাইট, চর্বি, প্রোটিন, গ্লুকোজ ইত্যাদি থাকতে পারে)। আপনার কিডনি, লিভার এবং অন্যান্য অঙ্গগুলি কতটা ভালভাবে কাজ করছে সে সম্পর্কে রক্তের রসায়ন পরীক্ষাগুলি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে।
হেমাটোলজি
Hematology রক্ত গবেষণা এবং এটি সম্পর্কিত রোগ গবেষণা। প্লেলেটগুলি রক্তের অন্যতম প্রধান সেলুলার উপাদান এবং অস্থি মজ্জাতে মেগ্যাকারিওসাইট থেকে উৎপন্ন ক্ষুদ্র নিউক্লিয়ট কোষ। এই লার্নিং কার্ডটি রক্তের কোষগুলির উত্পাদন, মর্ফোলজি এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফাংশনগুলির একটি সারসংক্ষেপ প্রদান করে।
রক্ত আপনার শরীর জুড়ে প্রবাহিত একমাত্র টিস্যু। এই লাল তরল শরীরের সমস্ত অংশে অক্সিজেন এবং পুষ্টির বহন করে এবং আপনার ফুসফুস, কিডনি এবং লিভারে বর্জ্য পণ্যগুলি নিষ্পত্তি করে। এটি আপনার প্রতিরক্ষা সিস্টেমের একটি অপরিহার্য অংশ, তরল এবং তাপমাত্রা ভারসাম্য, নির্দিষ্ট ক্রিয়াকলাপগুলির জন্য একটি জলবাহী তরল এবং হরমোনাল বার্তাগুলির জন্য একটি হাইওয়ে।
Hematology স্বাস্থ্য এবং রোগ রক্ত গবেষণা। হেমাটোলজি পরীক্ষাগুলি সংক্রমণ, প্রদাহ এবং অ্যানিমিয়া সহ বিভিন্ন অবস্থার নির্দেশ, নির্ণয় এবং মূল্যায়ন করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। হিমোগ্লোবিন (এইচজিবি) – লাল রক্ত কোষে অক্সিজেন বহনকারী প্রোটিন। মাত্রা রক্তে অক্সিজেন পরিমাণ সরাসরি প্রতিফলন হয়।
ইমিউনোলজি
গত দশকের এমএমুনোলজিটি বেশিরভাগ রোগী এবং তাদের ক্লিনিকে সহজে বর্তমান তত্ত্ব এবং বিতর্কগুলি বুঝতে সক্ষমতার ক্ষমতা গ্রহণ করেছে। ইমিউনোলজি সাহিত্য সেই ক্ষেত্রের জন্য সংরক্ষিত, যারা ক্ষেত্রের আণবিক ভাষা কথা বলে। তবুও, ইমিউনোলজির ভিতরে একটি মানুষের অসুস্থতা হিসাবে এইচআইভি বুঝতে এবং জয় করার ক্ষমতা রয়েছে। এদিকে আমি ইমিউনোলজির ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক বিকাশের কিছুটা হাইলাইট এবং সরল করার চেষ্টা করব যা ডিসেম্বর 2001 এর 41 তম আইসিএএএসি-তে বেশ কয়েকটি বক্তৃতা ও পোস্টারের মাধ্যমে উপস্থাপিত হয়েছিল।
এইচআইভি ভাইরাস আবিষ্কারের আগেও, এটি জানা গেছে যে যারা পিসিপি নিউমোনিয়া বা কে এস জ্বরের সাথে অসুস্থ ছিল তাদের কম সিডি 4 + টি-কোষের কারণে অনাক্রম্যতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ২0 বছর পর এইচআইভি কিভাবে টি-কোষের এই হ্রাস ঘটায় তার প্রক্রিয়াগুলি বোঝা যায় না। যখন কেউ প্রাথমিকভাবে এইচআইভি সংক্রামিত হয়, সিডি 4+ টি-কোষগুলি দ্রুত পতিত হয়। কিন্তু শীঘ্রই তারপরে সিডি 4 + টি-সেল সংখ্যার পুনরাবৃত্তি হয় যখন একই সময়ে এইচআইভি ভাইরাস হ্রাস পায়। এইচআইভি সংক্রমণে এই সময়ে ইমিউন সিস্টেমের এইচআইভি প্রতিলিপি উপর কিছু নিয়ন্ত্রণ আছে।
হিস্টো ও সাইটোপ্যাথলজি
সাইটোলজি (সাইটোপ্যাথোলজি নামেও পরিচিত) একটি রোগ নির্ণয় নির্ধারণের জন্য শারীরিক টিস্যু বা তরল থেকে কোষ পরীক্ষা করে। একটি নির্দিষ্ট ধরণের চিকিত্সক, যাকে প্যাথলজিস্ট বলা হয়, একটি মাইক্রোস্কোপের নীচে টিস্যু নমুনার কোষগুলি দেখবেন এবং কোষগুলির বৈশিষ্ট্য বা অস্বাভাবিকতাগুলি সন্ধান করবেন।
সেরোলজি
একটি সেরোলজিক্যাল পরীক্ষা হল একটি পরীক্ষাগার পরীক্ষা । এটি রক্তে অ্যান্টিবডিগুলির উপস্থিতি এবং ঘনত্ব পরিমাপ করতে ব্যবহৃত হয়। এটি বিভিন্ন চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত তদন্তের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। এটি বিভিন্ন সংক্রামক রোগ নির্ণয় এবং নিরীক্ষণ করতে ব্যবহৃত হয়।
মাইক্রোবায়োলজি
আপনি কি কখনো চিন্তা করেছেন- পুচকে ব্যাকটেরিয়াগুলো, বিশালদেহী মানুষ, প্রানী কিংবা বড় বড় উদ্ভিদগুলোকে খেয়ে ফেলতে পারে?
যদি সত্যিই খেয়ে ফেলে, তাহলে এর পিছনে অবশ্যই একটা রহস্য আছে। আর এর রহস্যটাই হল মাইক্রোবায়োলজি বা অনুজীববিজ্ঞান।
মাইক্রোবায়োলজি বা অনুজীববিজ্ঞান হল বিজ্ঞানের এমনই একটি শাখা, যেখানে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনুজীব (ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, শৈবাল, ছত্রাক ইত্যাদি) সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
প্রকৃতিতে তাদের বিস্তৃতি, তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক, অন্য প্রানীদের সাথে সম্পর্ক, মানুষ প্রানী এবং উদ্ভিদের উপর তাদের প্রভাব, পরিবেশে ভৌত ও রাসায়নিক এজেন্টদের প্রতি তাদের প্রতিক্রিয়া- ইত্যাদি সবকিছু জানার নামই হল মাইক্রোবায়োলজি বা অনুীববিজ্ঞান।
মুলত অনুজীব থেকে ভ্যাক্সিন ও অ্যান্টিবায়োটিক, প্রোটিন, ভিটামিন ও বিভিন্ন এনজাইম তৈরীর পদ্ধতি জানা,আবার কোন্ সংক্রামক রোগ কোন্ জীবাণুর আক্রমনে হয়, কিভাবে এরা জীবদেহে রোগ সৃষ্টি করে, কিভাবে এরা মৃতদেহ পচিয়ে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে,এরা কিভাবে খাবারে পচন ধরায় বা খাবার নষ্ট করে, এবং কোন খাবারকে কিভাবে জীবাণুর আক্রমন থেকে রক্ষা করা হয় এসব কিছু জানার নামই হল অনুজীববিজ্ঞান।
হেপাটাইসিস প্যানেল
রক্ত একটি ছোট কাচের টিউব বা স্লাইড বা টেস্ট স্ট্রিপে জমা হয়। কোনো রক্তপাত হলে ওই এলাকায় একটি ব্যান্ডেজ লাগানো যেতে পারে। রক্তের নমুনা পরীক্ষা করার জন্য একটি ল্যাবে পাঠানো হয়। প্রতিটি হেপাটাইটিস ভাইরাসের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করার জন্য রক্ত (সেরোলজি) পরীক্ষা ব্যবহার করা হয় ।
কার্ডিয়াক ইমেজিং
কার্ডিয়াক ইমেজিং এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরণের পরীক্ষা যা আপনার হৃদয় এবং আশেপাশের কাঠামোর ছবি নেয় । স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীরা হার্টের অবস্থা নির্ণয় এবং পরিচালনা করতে পরীক্ষাগুলি ব্যবহার করে। কার্ডিয়াক ইমেজিং পদ্ধতির উদাহরণ হল বুকের এক্স-রে, কার্ডিয়াক এমআরআই এবং নিউক্লিয়ার কার্ডিয়াক স্ট্রেস টেস্টিং।