প্রশ্নঃ সঠিক ক্যারিয়ার বাছাইয়ে করণীয় কি?
উত্তরঃ
ক্যারিয়ার জীবনের সূচনাতেই জটিলতা ও সংকট থেকে বাঁচতে হলে তরুণদের এমন একটি ক্যারিয়ার বেছে নেয়া উচিৎ যেখানে তাদের নিজেদের আগ্রহ ও যোগ্যতার সমন্বয় সাধন সম্ভব। এজন্য ক্যারিয়ারের লক্ষ্য নির্ধারণে কলেজ জীবনই হল সর্বোত্তম সময়।
ক্যাম্পাস থেকে ক্যারিয়ারের সন্ধিক্ষণঃ
হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের এক গবেষণায় দেখা গেছে, তৃতীয় বিশ্বের যে কোনো দেশের আন্তর্জাতিক মানসম্মত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করারাও ক্যারিয়ার নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভোগে। যার ফলে ক্যারিয়ারের সূচনাতেই তারা এক ধরনের ‘অপ্রস্তুত’ অবস্থায় পড়ে যায়।
গবেষণায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ ও শিক্ষার্থীরা ছয়টি সাধারণ ক্ষেত্র খুঁজে বের করেছে যেগুলো নিয়ে পড়াশোনা শেষ ও প্রথম চাকরিতে ঢোকার আগেই কাজ করা দরকার। শিক্ষার্থীরা যে বিশেষ বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করে বা তাদের যে প্রযুক্তিগত জ্ঞান আছে তার বাইরেই ওই ছয়টি ক্ষেত্র নির্ধারণ করা হয়।
১। জীবনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নির্ধারণ অর্থাৎ ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত জীবনের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য-উদ্দেশ্য চিহ্নিতকরণ
২। ভালো ভাষাগত যোগাযোগ দক্ষতা (লেখা ও বলা উভয় ক্ষেত্রে)
৩। স্মার্টনেসের সঙ্গে কাজ করার দক্ষতা (বাস্তব জীবনের সমস্যা সমাধান, সময়ানুবর্তিতা)
৪। কর্ম বা ব্যবসার মূল নীতিমালা সম্পর্কে সচেতনতা
৫। প্রথম দেখাতেই কাউকে ভাবভঙ্গিতে প্রভাবিত করার সক্ষমতা (উপস্থাপনের জন্য যোগ্য হওয়া)
৬। চাকরির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সক্ষমতা (সিভি, ইন্টারভিউ ও পেশাগত নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার দক্ষতা)।
প্রশ্নঃ আমি কেন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়বো?
উত্তর
বিশ্বায়নের এই যুগে ইন্ডাস্ট্রির সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। আর এ কারণে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার গুরুত্ব।নিশ্চিত কর্মসংস্থানের একমাত্র এবং পরিক্ষিত মাধ্যম হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা। সারা বিশ্বে জেনারেল শিক্ষার চেয়ে কারিগরি শিক্ষা বেশ জনপ্রিয় এবং মর্যাদাপূর্ণ।
১। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সেমিস্টার পদ্ধতিতে ৪ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি বর্তমান সময়ের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কেননা এ কোর্স সম্পন্ন করে সরকারি চাকরিতে ২য় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করা যায়।
২। সরকারি-বেসরকারি চাকরির পাশাপাশি বৈদেশিক কর্মসংস্থানেরও রয়েছে যথেষ্ট সুযোগ। আর কেউ উচ্চতর ডিগ্রি নিতে চাইলে সে সুযোগতো রয়েছেই।
৩। ডিপ্লোমা পাশ করার পর B.Sc ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ ছাড়াও ২ বছরের A.M.I.E পরীক্ষার মাধ্যমে B.Sc ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার সুযোগ।
৪। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর মর্যাদাপূর্ণ চাকরি অথবা পছন্দমত ব্যবসা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে।
৫। ডিপ্লোমা কোর্সের সার্টিফিকেট সারা বিশ্বে স্বীকৃত।
৬। সেশনজট মুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা।
প্রশ্নঃ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং চাকরির ক্ষেত্র কেমন?
উত্তর
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের চাকরির ক্ষেত্রসমূহঃ
১। উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে সরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ রয়েছে।
২। মিল কারখানাসহ দেশে বিদেশে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ব্যাপক চাকরির সুযোগ রয়েছে।
৩।পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, টি এন্ড টি , টেলিভিশন, বেতার, আনবিক শক্তি কমিশন, আবহাওয়া অধিদপ্তর,ভোকেশনাল স্কুল-কলেজ, কারিগরি বিষয়ে শিক্ষক, সিটি কর্পোরেশনসমূহ, পৌরসভা সমূহ, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, বিমানবাংলাদেশ, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি, ব্যাংক , পল্লী বিদ্যুৎ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজসমূহ , টিটিসি ছাড়াও অন্যান্য সরকারী প্রতিষ্ঠানে রয়েছে চাকরির সুযোগ।
৪। সরকারী চাকরির পাশাপাশি ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ রয়েছে।
প্রশ্নঃ একজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার সরকারী চাকরি কোন পদ থেকে শুরু করতে পারে ?
উত্তর
সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (২য় শ্রেণি বা দশম গ্রেড)
প্রশ্নঃ আনোয়ারা পলিটেকনিক কীভাবে চাকরির ব্যবস্থা করে?
উত্তর
Placement বা চাকরির সুবিধার জন্য সাইক পলিটেকনিক, STEP এর সহায়তায় চালু করেছে একটি অত্যাধুনিক Job Placement Cell.
এই সেলের মূল কাজ হলো দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা ইন্ডাস্ট্রির সাথে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন করার মাধ্যমে উত্তীর্ণ ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য মানসম্মত চাকরির ব্যবস্থা করা।
বিস্তারিতঃ http://anowara.edu.bd/placement-cell/
প্রশ্নঃ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে হলে ভর্তির যোগ্যতা কি?
উত্তর
এস.এস.সি/সমমান পরীক্ষায় যে কোন গ্রুপ থেকে জিপিএ ২.০০ পেয়ে উত্তীর্ণ,
২০১০-২০২০ সালের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে।
#বিঃদ্রঃ
(১) HSC (ভোকেশনাল) উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ক্রেডিট ট্রান্সফারের মাধ্যমে শুন্য আসনে ৪র্থ পর্বে ভর্তি হয়ার সুযোগ পাবে।
(২) HSC (বিজ্ঞান) উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা শুন্য আসনে ৩র্থ পর্বে ভর্তি হয়ার সুযোগ পাবে।
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এ কি কি কোর্স পড়ানো হয় ?
উত্তর
আনোয়ারা পলিটেকনিকে ৪ বছর মেয়াদী (৮ সেমিস্টার) কোর্স সমূহঃ
১। কম্পিউটার টেকনোলজি
২। ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি
৩। মেকানিক্যাল টেকনোলজি
৪। সিভিল টেকনোলজি
৫। টেক্সটাইল টেকনোলজি
প্রশ্নঃ আমি কি অনলাইনে ভর্তি হতে পারবো ?
উত্তর
হ্যাঁ। আপনি খুব সহজেই সাইক পলিটেকনিকে অনলাইন এর মাধ্যমে ভর্তি হতে পারবেন।
নিচের লিংকে ক্লিক করুনঃ
http://anowara.edu.bd/online-registration
প্রশ্নঃ আনোয়ারা পলিটেকনিকের ব্যতিক্রম বৈশিষ্ট্য?
উত্তর
১। পাঠদানের আন্তর্জাতীক মানসম্পন্ন পরিবেশ তৈরী করা।
২। দক্ষ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার তৈরী করা।
৩। ১০০% শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।
প্রশ্নঃ আনোয়ারা পলিটেকনিকের বিশেষ সুবিধা কি?
উত্তর
আনোয়ারা পলিটেকনিকের বিশেষ সুবিধাসমূহঃ
১। টেকনিক্যাল ট্রেনিংপ্রাপ্ত শিক্ষক দ্বারা এমন ভাবে পাঠদান করা হয় যে, কোন প্রকার গৃহশিক্ষকের প্রয়োজন হয় না।
২। ক্লাসে অনুপস্থিত, পরীক্ষার ফলাফল ও শিক্ষার্থীর মান উন্নয়নের বিষয়টি সম্মানিত অভিভাবকবৃন্দকে অবহিত করা হয়।
৩। সাইক Job Placement Cell – এর মাধ্যমে পাশকৃত সকল ছাত্র-ছাত্রীদের চাকুরী প্রাপ্তি নিশ্চিত করে।
৪। শিক্ষার্থীদের তত্ত্বাবধানের জন্য গাইড শিক্ষকের ব্যবস্থা।
৫। ৬ মাসের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং নামকরা প্রতিষ্ঠানসমূহে করানোর ব্যবস্থা।
৬। প্রত্যেক সেমিস্টারে ১০০% ক্লাসে উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীদের বিশেষভাবে পুরস্কৃত করা হয়।
৭। ফ্রি ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা, যা থেকে ছাত্র/ছাত্রীরা Information Super Highway থেকে শিক্ষণীয় বিষয় আহরণ করতে পারবে।
৮। প্রতি সেমিস্টারে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্যুরের মাধ্যমে হাতে -কলমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা।
৯। ইন্ডাস্ট্রি রিলেটেড কাজের দক্ষতার জন্য ইন্ডাস্ট্রি থেকে গেস্ট লেকচারার আমন্ত্রণ করা।
১০। মেধা বিকাশে অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতা কোন প্রতিবন্ধকতা নয়। তাই সকল ছাত্র-ছাত্রী সাইক পলিটেকনিকে পড়ার সুযোগ পাবে।
১১। মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে সর্বাধিক ব্যবহারিক ক্লাস ও ল্যাবের সুবিধা।
১২। SMS এর মাধ্যমে ছাত্র/ছাত্রীদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদানের ব্যবস্থা।
১৩। হেল্থ কার্ডের মাধ্যমে ছাত্র/ছাত্রীদের মেডিকেল চেক আপ এর ব্যবস্থা।
১৪। C C ক্যামেরার মাধ্যমে ক্লাস ও ল্যাব মনিটরিং এর ব্যবস্থা ।
প্রশ্নঃ আনোয়ারা পলিটেকনিকের ছাত্রীদের বিশেষ সুযোগ সুবিধা কি কি ?
উত্তর
১। মাসিক বেতনের ২৫% ছাড়
প্রশ্নঃ আনোয়ারা পলিটেকনিক ও মেডিকেল হোস্টেল সুবিধা আছে কি?
উত্তর
দুরের ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধা ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আনোয়ারা পলিটেকনিক কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে হোস্টেল পরিচালনা করে আসছেন। হোস্টেল সমূহের নিকটবর্তী ইনস্টিটিউট হওয়ায় আনোয়ারা পলিটেকনিক কর্তৃপক্ষ হোস্টেলে অবস্থানরত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য লাইব্রেরী এবং ল্যাব ব্যবহারের পর্যাপ্ত সুবিধা প্রদান করেছে। বর্তমানে আনোয়ারা পলিটেকনিক ও মেডিকেল ক্যাম্পাসে ১টি ১০০ আসন বিশিষ্ট হোস্টেল রয়েছে।
প্রশ্নঃ আনোয়ারা মেডিকেল ও পলিটেকনিক এর লাইব্রেরী সুবিধা আছে কি?
যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য লাইব্রেরী একটি অপরিহার্য অঙ্গ। ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার সুবিধার কথা বিবেচনা করে আনোয়ারা পলিটেকনিক ও মেডিকেল এর বিষয় ভিত্তিক ও রেফারেন্স বই সমৃদ্ধ একটি করে লাইব্রেরী করেছে। লাইব্রেরীতে দেশী-বিদেশী মিলিয়ে বইয়ের সংখ্যা ১০ (দশ) হাজারের অধিক। নতুন নতুন বই সংযোজনের মাধ্যমে এ সংখ্যা বাড়াতে এসআইএমটি সদা সচেষ্টা।
প্রশ্নঃ আনোয়ারা পলিটেকনিকে কি কি ল্যাব সুবিধা রয়েছে ?
উত্তরঃ
আনোয়ারা পলিটেকনিকে মোট ২৫টি ল্যাব রয়েছেঃ
১। হার্ডওয়্যার ল্যাব ৩। নেটওয়ার্ক ল্যাব
৪। ক্যাড এন্ড গ্রাফিক্স ল্যাব ৫। ইলেকট্রিক্যাল মেশিন ল্যাব
৬। ইলেকট্রিক্যাল ওয়ারিং ল্যাব ৭। ইলেকট্রনিক্স ল্যাব ৮। মাইক্রো-কন্ট্রোলার ল্যাব
৯। গার্মেন্টস ল্যাব ১০। কনস্ট্রাকশন ল্যাব ১১। টেক্সটাইল টেস্টিং এন্ড কোয়ালিটি কন্ট্রোল ল্যাব ১৩। ওয়েট প্রসেসিং ল্যাব
১৪। ফেব্রিক ম্যানুফেকচারিং ল্যাব ১৫। ক্যাড, ক্যাম ল্যাব ১৬। ইয়ার্ন ম্যানুফেকচারিং ল্যাব
১৭। টেলিকমিউনিকেশন ল্যাব ১৮। ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রয়িং ল্যাব ১৯। ফিজিক্স ল্যাব
২০। মেটারিয়াল টেস্টিং ল্যাব ২১। সার্ভেয়িং এন্ড প্লাম্বিং ল্যাব
২২। ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সার্কিট ল্যাব ২৩। রোবটিকস ল্যাব
২৪। ইন্সট্রুমেন্টেশন এন্ড প্রসেস কন্ট্রোল ল্যাব ২৫। ইলেকট্রিক্যাল মেজারমেন্ট ল্যাব
প্রশ্নঃ ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স সমূহে ভর্তির জন্য SSC / সমমান পরীক্ষায় নূন্যতম কত জিপিএ থাকতে হবে? ?
উত্তর
জিপিএ ২.৫০ পেয়ে উর্ত্তীণ।
প্রশ্নঃ আনোয়ারা পলিটেকনিক ও আনোয়ারা মেডিকেল ফেসবুক পেজের অ্যাড্রেস কি ?
https://www.facebook.com/anowara.polytechnic/
https://www.facebook.com/anowara.medical/