ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কি?
বিশ্বায়নের এই যুগে ইন্ডাস্ট্রির সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে । আর এ কারণে বাড়ছে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার গুরুত্ব । নিশ্চিত কর্মসংস্থানের একমাত্র এবং পরীক্ষিত মাধ্যম হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা ।
সারা বিশ্বে জেনারেল শিক্ষার চেয়ে কারিগরি শিক্ষা অনেক জনপ্রিয় ও মর্যাদাপূর্ণ । ইঞ্জিনিয়ার মানে হচ্ছে প্রকৌশলী । আর ইঞ্জিনিয়ারিং মানে হচ্ছে প্রকৌশলের মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন করা ।
যে কাজ অতি সহজভাবে, কম খরচে, কম সময়ে, কম জনশক্তিতে করা যায় তাকে প্রকৌশলের মাধ্যমে কাজ করা বলে। আর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং হলো ৪ বছর মেয়াদি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স ।
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কেন পড়বেন ?
প্রকৌশল বা ইঞ্জিনিয়ারিং হচ্ছে মানুষের সমস্যাবলী সমাধান এবং জীবনকে সহজ করার জন্য বৈজ্ঞানিক এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞানের প্রয়োগ ।
প্রকৌশলীগণ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, গণিত এবং বাস্তব অভিজ্ঞতা প্রয়োগ করবার জন্য তাঁদের কল্পনাশক্তি, বিচারক্ষমতা এবং যুক্তিপ্রয়োগক্ষমতা ব্যবহার করেন। এর ফলাফল হচ্ছে উন্নততর নিত্যপ্রয়োজনীয় বস্তু ও নিত্যব্যবহার্য কর্মপদ্ধতির আবির্ভাব যা প্রতিদিনের জীবনকে সহজ করে দেয়।
আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে বি.এসসি. ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে হলে উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর যে কেবল প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়েই ভর্তি হতে হবে । আমাদের দেশে পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো হয়ে থাকে ।
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং তুলনামূলক কম সময়ে কোর্স সমাপ্তি আর কোর্স শেষে ন্যূনতম চাকরির নিশ্চয়তা থাকে এখানে। এ দুয়ে মিলে ডিপ্লোমা প্রকৌশলের চাহিদা শিক্ষার্থীদের কাছে সবচেয়ে বেশি। ৪ বছর মেয়াদি এই কোর্সে ভর্তি হতে হয় এসএসসির পর।
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় পরিচালিত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে বিভিন্ন জেলা শহরে অবস্থিত সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাড়াও প্রাইভেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়।
আর্কিটেকচার, অটোমোবাইল, কেমিক্যাল, সিভিল, সিভিল (উড), কম্পিউটার, ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিকস, ফুড, পাওয়ার, মেকানিক্যাল, প্রিন্টিং, গ্রাফিক ডিজাইন, গ্লাস, সিরামিক, ইলেকট্রো মেডিক্যাল, মেরিন, শিপবিল্ডিং, সার্ভেয়িং, মেকাটনিকস, কনস্ট্রাকশন, টেলিকমিউনিকেশন, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, আর্কিটেকচার অ্যান্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইন, গার্মেন্টস ডিজাইন অ্যান্ড প্যাটার্ন মেকিং, ইনস্ট্রুমেন্টেশন অ্যান্ড প্রসেস কন্ট্রোল, ডেটা টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড নেটওয়ার্কিং, এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ারিং (অ্যারোস্পেস), এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ারিং (অ্যাভিয়োনিকস) এবং মাইনিং অ্যান্ড মাইন সার্ভে টেকনোলজি পড়ানো হয় সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা এই ইনস্টিটিউটগুলোয়।
এসএসসির পর ভর্তির বিজ্ঞপ্তি দিয়ে থাকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ কিছু বৈশিষ্ট্য হচ্ছেঃ
- বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সেমিস্টার পদ্ধতিতে ৪ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়াশোনা প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি বর্তমান সময়ের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে । কেননা এ কোর্স সম্পন্ন করে সরকারি চাকরিতে ২য় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করা যায় ।
- সরকারি-বেসরকারি চাকরির পাশাপাশি বৈদেশিক কর্মসংস্থানেরও রয়েছে যথেষ্ট সুযোগ। আর কেউ উচ্চতর ডিগ্রি নিতে চাইলে সে সুযোগতো রয়েছেই ।
- ডিপ্লোমা পাশ করার পর B.Sc ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ ছাড়াও ২ বছরের A.M.I.E পরীক্ষার মাধ্যমে B.Sc ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার সুযোগ
- ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর মর্যাদাপূর্ণ চাকরি অথবা পছন্দমত ব্যবসা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে ।
- ডিপ্লোমা কোর্সের সার্টিফিকেট সারা বিশ্বে স্বীকৃত ।
- সেশনজট মুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা ।
আনোয়ারা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর ব্যতিক্রম বৈশিষ্ট্যঃ
- পাঠদানের আন্তর্জাতীক মানসম্পন্ন পরিবেশ তৈরী করা।
- দক্ষ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার তৈরী করা।
- ১০০% শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।
আনোয়ারা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর বিশেষ সুবিধা সমূহঃ
- টেকনিক্যাল ট্রেনিংপ্রাপ্ত শিক্ষক দ্বারা এমন ভাবে পাঠদান করা হয় যে, কোন প্রকার গৃহশিক্ষকের প্রয়োজন হয় না।
- ক্লাসে অনুপস্থিত, পরীক্ষার ফলাফল ও শিক্ষার্থীর মান উন্নয়নের বিষয়টি সম্মানিত অভিভাবকবৃন্দকে অবহিত করা হয়।
- সাইক Job Placement Cell – এর মাধ্যমে পাশকৃত সকল ছাত্র-ছাত্রীদের চাকুরী প্রাপ্তি নিশ্চিত করে।
- শিক্ষার্থীদের তত্ত্বাবধানের জন্য গাইড শিক্ষকের ব্যবস্থা।
- ৬মাসের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং নামকরা প্রতিষ্ঠানসমূহে করানোর ব্যবস্থা।
- প্রত্যেক সেমিস্টারে ১০০% ক্লাসে উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীদের বিশেষভাবে পুরস্কৃত করা হয়।
- ফ্রি ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা, যা থেকে ছাত্র/ছাত্রীরা Information Super Highway থেকে শিক্ষণীয় বিষয় আহরণ করতে পারবে।
- প্রতি সেমিস্টারে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্যুরের মাধ্যমে হাতে -কলমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা।
- ইন্ডাস্ট্রি রিলেটেড কাজের দক্ষতার জন্য ইন্ডাস্ট্রি থেকে গেস্ট লেকচারার আমন্ত্রণ করা।
- মেধা বিকাশে অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতা কোন প্রতিবন্ধকতা নয়। তাই সকল ছাত্র-ছাত্রী SIMT তে পড়ার সুযোগ পাবে।
- মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে সর্বাধিক ব্যবহারিক ক্লাস ও ল্যাবের সুবিধা।
- SMS এর মাধ্যমে ছাত্র/ছাত্রীদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদানের ব্যবস্থা।
- হেল্থ কার্ডের মাধ্যমে ছাত্র/ছাত্রীদের মেডিকেল চেক আপ এর ব্যবস্থা।
- CC ক্যামেরার মাধ্যমে ক্লাস ও ল্যাব মনিটরিং এর ব্যবস্থা রয়েছে।
ভর্তি/তথ্য
আনোয়ারা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, মির্জাপুর, সুইহারি, দিনাজপুর।
ফোনঃ +880 531-66825 মোবাঃ +880 1936-002836
—————————–
ক্যাম্পাস পরিদর্শন পূর্বক ভর্তির সিদ্ধান্ত নিন ।