Diploma in Laboratory Technology (Pathology)
যে কোন মানুষ অসুস্থ হলেই তাকে ডাক্তারের সরনাপন্ন হতে হয়। আর ডাক্তারের চিকিৎসা করার জন্য প্রয়োজন হয় সঠিক রোগ নির্ণয়ের। এই কাজটা করেন একজন মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট। সঠিক রোগ নির্ণয় না হলে মানুষ অনেক ভোগান্তির শিকার হয়। এমনকি শেষ পর্যন্ত মৃত্যুও হতে পারে।
সাধারনত এক বছরের কোর্স সম্পন্ন করে টেকনিশিয়ান হওয়া যায়। কিন্তু যারা চার বছরের ডিপ্লোমা কোর্স শেষ করেন, তাদেরকে মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট বলা হয়। টেকনোলজিষ্টদেরকে মূলত টিস্যু, রক্ত, মল, মানব শরীরের অন্যান্য পদার্থ পরীক্ষা করতে হয়। এছাড়া ল্যাবরেটরী সংক্রান্ত সব বিষয়েই দক্ষ হতে হয়। মাইক্রোবায়োলজি, হেমাটোলজি, ইউরিন এনালাইসিস, সেরোলজি, ক্লিনিক্যাল কেমিস্ট্রি, ট্রক্সিকোলজি, ভাইরোলজি, হিস্টোপ্যাথলজি এবং সাইটোলজি বিষয়ে মূলত এটি একটি প্রফেশনাল ও সেবা মূলক কাজ। এই বিষয়ে পড়াশোনা করে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে অত্যন্ত ধৈর্য্য ও নিষ্ঠার সাথে পড়াশোনা করতে হবে। তবে এই কোর্স পড়ে উন্নত ক্যারিয়ার গঠন সম্ভব। এই কোর্স সম্পন্ন করলে কাজের সুযোগ অনেক। শুধুমাত্র ডিপ্লোমা শেষ করেই চিফ টেকনোলজিষ্ট, ডিপার্টমেন্টাল সুপারভাইজার, ল্যাব ইনচার্জ এবং ল্যাব সাইনটিস্ট অফিসার পর্যন্ত হওয়া যায়।
উচ্চ শিক্ষার সুযোগ
ডিপ্লোমা শেষ করে এই বিষয়ে বি.এস.সি এবং আরোও উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করার সুযোগ রয়েছে।
চাকুরীরক্ষেত্রসমূহঃ
- সরকারী/ বেসরকারী মেডিকেল কলেজ সমূহে টেকনোলজিষ্ট হিসাবে নিয়োগ
- সরকারী/ বেসরকারী হেল্থ টেকনোলজি ইনস্টিটিউটে ল্যাব ইন্সট্রাকটর হিসাবে নিয়োগ
- সরকারী/ বেসরকারী হাসপাতালে টেকনোলজিষ্ট হিসাবে নিয়োগ
- ক্লিনিক/ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টেকনোলজিষ্ট হিসাবে নিয়োগ
- বিদেশে চাকুরীর সুযোগ
- আত্ম কর্মসংস্থানের সুযোগ।
ভর্তির যোগ্যতা:
এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় যেকোন বিভাগ থেকে নূন্যতম জিপিএ ২.৫ পেয়ে উত্তীর্ণ। ২০১০-২০২০ সালের পাশকৃত ছাত্র-ছাত্রীরা আবেদন করতে পারবে।