Diploma in Nursing Technology
নার্সিং একটি মহৎ পেশা এবং সেবামূলক কাজ। পৃথিবীতে যত মহৎ পেশা আছে নার্সিং তার মধ্যে অন্যতম। বিগত কয়েক দশকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিপুল সমপ্রসারনের সাথে নার্সিং পেশাটির বিপুল সমপ্রসারন ঘটেছে। বর্তমানে আমাদের দেশে একজন ডাক্তারের সাথে সহকারী হিসেবে চারজন নার্সকে সার্বক্ষনিক থাকতে হয়। তাই আমাদের দেশে দিনে দিনে অনেক মানুষ নার্সিং পড়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছে। নার্সিং ৪বছর মেয়াদী একটি কোর্স। আমাদের দেশে বর্তমানে নার্সের চাহিদা অনেক।
বর্তমানে এই পেশার চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সরকারী ও বেসরকারী খাতে নার্সদের বিপুল সংখ্যক পদ শূন্য রয়েছে। বলাবাহুল্য একজন রোগীর ক্ষেত্রে একজন নার্সের ভূমিকা ও গুরুত্ব অপরিসীম। একজন ছাত্র বা ছাত্রী S.S.C পাশ করে নার্সিং কোর্সটি শেষ করে সে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সরকারী, আধাসরকারী ও বেসরকারী যে কোন প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করার সুযোগ পাবে। শুরুতেই একজন নার্স ৮,০০০ টাকা হতে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারে। দেশে বিদেশে নার্সিং পেশার ব্যাপক চাহিদা থাকায় নার্সিং কোর্সটি শেষ করে দেশের বেকারত্ব মোচন এবং বিদেশে চাকুরী করে দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে সক্ষম হবে। একজন ছাত্র বা ছাত্রী ডিপ্লোমা নার্সিং শেষ করে B.Sc নার্সিং পড়তে পারবে। সেক্ষেত্রে তার কর্মের সুযোগ সুবিধার পরিধি অনেক বেড়ে যাবে।
চাকুরীর ক্ষেত্র সমূহঃ
- সরকারী-বেসরকারী মেডিকেল কলেজ সমূহে নার্স হিসাবে নিয়োগ।
- সরকারী-বেসরকারী হাসপাতালে নার্স হিসাবে নিয়োগ।
- ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নার্স হিসাবে নিয়োগ।
- বিদেশে চাকুরীর সুযোগ।
- আত্ম কর্মসংস্থানের সুযোগ।
ভর্তির যোগ্যতা:
এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় যেকোন বিভাগ থেকে নূন্যতম জিপিএ ২.৫ পেয়ে উত্তীর্ণ। ২০১০-২০২০ সালের পাশকৃত ছাত্র-ছাত্রীরা আবেদন করতে পারবে।