B.Sc in Nursing
ভর্তির যোগ্যতাঃ
বি.এসসি ইন নার্সিং (বেসিক) এর ক্ষেত্রেঃ
১. প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।
২. প্রার্থীকে সু-স্বাস্থ্যের অধিকারী এবং অবিবাহিত হতে হবে।
৩. বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জীববিদ্যা সহ বিগত ৩ সালের এইচ.এস.সি পাস কমপক্ষে GPA ৩.০০ প্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীরা আবেদন করতে পারবে। ২০১০-২০২১ সালের পাশকৃত ছাত্র-ছাত্রীরা আবেদন করতে পারবে।
৪. আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ এস.এস.সি এবং এইচ.এস.সি পরীক্ষায় প্রাপ্ত GPA এর যোগফল নূন্যতম ৭.০০ থাকতে হবে। কোন অনস্থাতেই এস.এস.সি এবং এইচ.এস.সি সমমানের পরীক্ষায় GPA ৩.০০ এর নিচে গ্রহণযোগ্য হবে না।
বি.এসসি ইন নার্সিং (পোস্ট বেসিক) এর ক্ষেত্রেঃ
ডিপ্লোমা ইন নার্সিং GPA ২.৫০ পেয়ে উত্তীর্ণ এবং বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল নিবন্ধিত হতে হবে।
শিক্ষা ব্যবস্থাঃ
- অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রিন্সিপাল, ভাইস প্রিন্সিপাল। সিনিয়ির অধ্যাপক কনসালট্যান্ট, সুযোগ্য ও অভিজ্ঞ এনাটমি, ফিজিওলজি ও কেমিস্ট্রির বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক, কম্পিউটার শিক্ষক, মেডিকেল কলেজের অভিজ্ঞ ক্লিনিক্যাল ইন্সট্রাক্টর দ্বারা নার্সিং ক্লাস পরিচালিত।
- বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিল কাউন্সিল দ্বারা নির্ধারিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রেডিট সম্বলিত কারিকুলাম অনুযায়ী কোর্স সম্পন্ন করা হয়।
- বিষয়ের সাথে সমন্বয় করে ছাত্র-ছাত্রীদের হাসপাতাল গুলোতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।
কোর্সের উদ্দেশ্যঃ
কোর্সের উদ্দেশ্য হলো একজন দক্ষ নার্স তৈরী করা, স্বাস্থ্য বিষয়ক একজন প্রথম পর্যায়ের পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করবে । বিশেষ করে গ্রামের দিকের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সেবা কার্যে ভূমিকা পালন করেবেন ।
কাজের ধরণঃ
- একজন নার্সকে সাধারণত চিকিৎসকের নানা কাজের সহকারী হিসেবে হাসপাতাল বা ক্লিনিকের আউটডোর ও ইনডোর, অপারেশন থিয়েটারে কাজ করতে হয়।
- ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা।
- ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রোগীকে সঠিকভাবে ঔষধ খাওয়ানো।
- রোগীর স্বাস্থ্যের অগ্রগতি বা অবনতি সম্পর্কে ডাক্তারকে নিয়মিত জানানো।
- রোগীর সার্বিক পরিচর্যার দায়িত্ব নেয়া।
- ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ও পরামর্শ সঠিকভাবে বোঝা ও সে অনুযায়ী রোগীর পরিচর্যা করা।
- রোগীর সমস্যার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা ও ডাক্তারকে জানানো।
- রোগীর স্বাস্থ্যের অগ্রগতি ও অবনতি সম্পর্কে নিয়মিত প্রতিবেদন তৈরি করতে পারা। pagina
চাকুরীর ক্ষেত্রসমূহঃ
- ‘স্টাফ নার্স’ হিসেবে কর্মজীবন শুরু করার পর পরবর্তী সময়ে প্রমোশন পেয়ে সিনিয়র স্টাফ নার্স, নার্সিং সুপারভাইজর, নার্সিং সুপারিনটেনডেন্ট, মেট্রন নার্স/নার্স ম্যানেজার পর্যন্ত হতে পারেন।
- সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল
- সমাজসেবা অধিদপ্তর
- হোটেল, মোটেল
- এনজিও, পর্যটন কর্পোরেশন
- নার্স থেকে পদোন্নতি পেয়ে সিনিয়র স্টাফ নার্স ও সুপারিন্টেডেন্ট বা নার্সিং ট্রেনিং কলেজের প্রশিক্ষক হওয়ার সুযোগ।
- দেশের বাইরেও চাকরির ভালো সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন দেশ যেমন- সৌদি আরব, লিবিয়া, কানাডা, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের তেরটি দেশে বাংলাদেশের নার্সরা চাকরি করেছেন। দেশের বাইরে চাকরির জন্য নার্সদের প্রশিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি ইংরেজিতে পারদর্শী হতে হবে।
সাধারণ নীতিমালাঃ
- ভর্তির পর বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিলের নিয়ম-বিধি, নীতি-মালা সহ নার্সিং ইনস্টিটিউটের নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলার অঙ্গিকারনামা নিতে হবে।
- কোন ছাত্র-ছাত্রী ক্রমাগত বিনা নোটিশে হোস্টেলে বা ক্লাসে অনুপস্থিত থাকতে পারবে না।
- যদি কোন ছাত্র-ছাত্রী ৬ মাস অন্তর চুড়ান্ত পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয় এবং ৭ দিন পর দ্বিতীয় সুযোগেও আবার অকৃতকার্য হয় তবে তার প্রশিক্ষণ বাতিল হয়ে যাবে।
- যদি কোন ছাত্র-ছাত্রী কারো সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে এবং সেটা যদি প্রতিষ্ঠানের জন্য ক্ষতিকর বলে প্রমাণিত হয় তাহলে উক্ত ছাত্র-ছাত্রীর প্রশিক্ষণ বাতিল করা হবে।